শীতে কেমন হবে চুলের যত্ন

শীত কালের ত্বকের পাশাপাশি চুলের প্রতিও একটু বেশি যত্নশীল হওয়া উচিৎ। যাদের চুল পড়ার সমস্যা নেই তাদেরও চুল পড়তে দেখা যায় এই সময়ে। শীতের দিন আর্দ্রতা কমে যায় বলে অনেকের খুশকির সমস্যা দেখা যায়। এই সব সমস্যায় সব সময় আপনাকে দামি প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে এমনটি নয়। ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেও আপনি পেতে পারেন সমাধান। আজকে আমরা জানব শীতে চুলের যত্নে আপনার করনীয় কি হবে,

সঠিক খাদ্যাভ্যাস

শীতে চুলের সঠিক বৃদ্ধি এবং মসৃণতা বজায় রাখতে আপনাকে মেনে চলতে হবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস। চুলের আগা ফাটা এবং চুল পড়া রোধ করতে আপনার দরকার ভেতর থেকে পুষ্টি, এজন্য প্রোটিনের কোন বিকল্প নেই। নিয়মিত প্রোটিন যুক্ত খাবার খান। কিছু খাদ্য উপাদান আছে যেগুলো নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে যেমন ডাল, শিম, মটরশুঁটি ইত্যাদি। এগুলাতে আছে জিঙ্ক যা চুলের ক্ষতি পূরণ করে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, ফলমূল খান, শরীরের জন্য ক্ষতিকর এমন সব খারাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। ভিটামিন ই চুলের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। বাজারে ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়, সেটাও খেতে পারেন। ই-ক্যাপসুল খাওয়ার পাশাপাশি ভেঙ্গে তেলের সাথে মিশিয়ে চুলেও লাগানো যায়।

প্রোটিন প্যাক

ব্যস্ততার মধ্যেও আপনি কম সময়ে চুলের যত্ন নিতে পারেন প্রোটিন প্যাকের মাধ্যমে। প্রথমে ১০-১৫ মিনিট চুল অয়েল ম্যাসাজ করুন , তারপর ডিমের সাদা অংশ, টকদই, পেয়াজের রস এক সাথে মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলে ৩৫/৪০ মিনিট রেখে দিন।তাছাড়া চুলের যত্নে আপনি কলা ও মধুর প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন।

তেল

চুলের যত্নে তেলের ভূমিকা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। চুলে ও তালুতে বেশি করে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল লাগান। বেশ কিছুক্ষণ রেখে ভাল করে শ্যাপু করে ফেলুন। শীতকালে যেহেতু বাইরে অনেক ধুলাবালি থাকে সেহেতু তেল দিয়ে বাইরে না যাওয়াই ভাল।

খুশকিতে চুলের যত্ন

শীত কালে শুষ্কতার ফলে অনেকের খুশকির সমস্যা দেখা যায়। আর চুল পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে এই খুশকি। তাই আপনাকে যতটা সম্ভব তালুকে খুশকি মুক্ত রাখতে হবে। খুশকির ট্রিটমেন্ট আপনি বাড়িতেই করতে পারেন। একটা পাত্রে এক চামচ মেহেদি বাটা, ৩ টি আমলকীর রস,  ১ চামচ টকদই, লেবুর রস, এক চামচ মেথি পাউডার নিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই পেস্টটি পুরো মাথায় বিশেষ করে মাথার তালুতে ভাল ভাবে লাগিয়ে রাখুন । ভাল ফলাফল পেতে ৫০/৬০ মিনিট রাখতে পারেন। এর পর চুল শ্যাম্পু করুন, সমস্ত চুল ভাল করে কন্ডিশনার করে ধুয়ে ফেলুন খেয়াল রাখতে হবে স্ক্যাল্পে যেন খুব বেশি শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার না লাগে। কারণ স্ক্যাল্প পুরোপুরি ক্লিন হয়ে গেলে প্যাকের পুষ্টি গুণ চলে যাবে।

নিয়মিত শ্যাম্পু

যারা প্রতিদিন বাইরে বের হন তাদের জন্য শীত কালে চুল পরিষ্কারে শ্যাম্পুর বিকল্প নেই। গ্লিসারিন যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। আপনার চুলের উপযোগী শ্যাম্পু বেছে নিন। একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু করা ঠিক না। প্রতিদিন শ্যাম্পু করার ফলে আপনার চুলের ক্ষতি হতে পারে।

কন্ডিশনার

শীতের সময় চুলের সঠিক পরিচর্যায় আপনাকে, শিয়া বাটার, গ্লিসারিন যুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। কন্ডিশনার আপনার চুলের আর্দ্রতা ধরে রেখে শীতের রুক্ষতা থেকে চুলকে বাঁচাতে পারে। শ্যম্পুর মতই প্রতিদিন কন্ডিশনার করা থেকে বিরত থাকুন।

শীতের চুলের সঠিক যত্নে উপরের কাজ গুলো করতে পারেন। তবে কিছু রয়েছে যেগুলো কখনোই করা যাবে না।চুলে তেল দেয়া বন্ধ করা যাবে না

  • গরম পানি অধিক সময় চুলে লাগতে দেয়া যাবে না। 
  • তারাহুরো করে হেয়ার ড্রায়ারের গরম হাওয়া দিয়ে চুল শুকানো যাবে না।
  • শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে, অলসতা করে কন্ডিশনার ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না।

                                 শীতে কেমন হবে আপনার মেকআপ

যেকোনো ঋতুর চেয়ে সাজগোজের জন্য শীতই ভাল। তাপমাত্রা ঠাণ্ডা থাকার ফলে দীর্ঘসময় পরেও মেকআপ নষ্ট হয় না, মেকআপের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এই সময়টাতে বিয়ে এবং বিভিন্ন পার্টি লেগেই থাকে, তাই নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সঠিক মেকআপ পদ্ধতি জেনে নেয়া উচিৎ। শীতের আপনার মেকআপ কেমন হবে এটা নিয়েই আজকের এই লেখনি। 

শীতে বাইরের রুক্ষতা এবং সূর্যের আলো আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এজন্য বাইরে যাবার আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে বাইরে যান। এটি আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচাবে। 

ময়েশ্চারাইজার

মেকআপ শুরুর আগে আপনার ত্বককে ভাল ভাবে মেকআপ এর উপযুক্ত করে নিতে হবে। ত্বককে মেকআপের উপযুক্ত করে নিতে ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজার। আপনার ত্বকে কোন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার ত্বক কেমন তার উপরে। যেমন আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তাহলে আপনি অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন আবার যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। 

শীত কালে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিৎ তবে ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পর পরই মেকআপ করতে যাবেন না, ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পর প্রাইমার ব্যবহার করবেন। 

ফাউন্ডেশন

ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে আপনার ত্বক বুঝে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বুঝে । তবে শীতে স্কিন অনেক বেশি গ্লোয়িং লাগতে গ্লসি ফিনিশ ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। শীতে ম্যাট ফাউন্ডেশন থেকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে গ্লসি ফিনিশ ফাউন্ডেশন বেশি উপযুক্ত। আপনি সারা বছর ফ্ল্যাট ব্রাশ ব্যবহার করলেও শীতের সময় এটি পরিবর্তন করতে হবে, এ সময় আপনাকে মসৃণ, ও আর্দ্র ফাউন্ডেশন প্রলেপ দিতে আর্দ্রতা যুক্ত ব্রাশ বা ব্লেন্ডিং স্পঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।

বিবি  ক্রিম 

যারা হালকা মেকআপ করতে চান তাদের জন্য রয়েছে BB ক্রিম। কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই তৎক্ষণাৎ এটি ত্বকে ব্যবহার করা যায়। BB ক্রিম মূলত তৈরি করা হয়েছে ময়েশ্চারাইজার এবং ফাউন্ডেশনের মিশ্রণে। সুতরাং দুইটা আলাদা আলাদা না দিয়ে একবারে BB ক্রিম লাগিয়ে ফেলাই ভাল।  

হালকা মেক-আপ করতে চাইলে ফাউন্ডেশনের বদলে বেছে নিন বিবি ক্রিম। গার্নিয়ার বিবি ক্রিম এই শীতে সব ধরনের ত্বকের উপযোগী।

কন্সিলার

ত্বককে উজ্জ্বল এবং মসৃণ দেখাতে কন্সিলার ব্যবহার করতে পারেন। মুখে ব্রণের দাগ, ডার্ক সার্কেল, ডার্ক স্পট ঢাকতে কন্সিলার ভাল কাজ করতে পারে। 

আইশ্যাডো

মুখের সৌন্দর্য পরিপূর্ণ করতে চোখের সাজও গুরুত্বপূর্ণ। শীতে আপনি বেছে নিতে পারেন শিমারী আইস্যাডো এবং ফ্রস্টি আইশ্যাডো। আইশ্যাডোর স্থায়িত্ব বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন ক্রিম কন্সিসার এবং আইপ্রাইমার।  

ঠোঁটের সাজ

শীতে ঠোঁটের যত্নের পাশাপাশি ভাল করে ঠোঁটের সাজও মেইনটেইন করতে হবে। ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানোর আগে ব্যবহার করতে পারেন লিপবাম। যদি আপনার ঠোঁট ফাটা বা শুষ্ক থাকে তাহলে লিপস্টিক ভালো দেখাবে না সেক্ষেত্রে আপনি ভাল মানের কোন লিপবাম ব্যবহার করে ভাল ফলাফল পেতে পারেন।  

ব্লাশ-অন

ব্লাশ অন সব সময়ই প্রয়োজন তবে শীতে কখনো কখনো ব্লাশ নেয়া জরুরি। শীতে ত্বক থাকে ফ্যাকাসে আর এজন্য প্রাণবন্ত ও রঙ্গিন দেখাতে আপনি বেছে নিতে পারেন ব্লাশ। গোলাপি শেড বেছে নেবেন যাদের মুখের রঙ ফর্সা। তাছাড়া শীতে ক্রিম ব্লাশ ব্যবহার করা বেশি উপযোগী।   

পোশাকের কালার

শীত কালে মেকআপ এর পাশাপাশি পোশাকের রঙ যে মানানসই থাকে সেদিকেও ভাল ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। শীতে কালো রঙের পোশাক পরা অনেক ক্ষেত্রে আরামদায়ক হতে পারে কারণ এতে অধিক তাপ শোষণ ক্ষমতা থাকে। এই সময় গাঢ় রঙের পোশাকে আপনি উষ্ণতা পেতে পারেন। শীত সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কালো, গাঢ় নীলের মতো জমকালো রঙ। পার্টিতে পরতে পারেন, লাল, ম্যাজেন্টা, মেরুন, গোলাপি, নেভি ব্লু, গাঢ় সবুজ ইত্যাদি রঙের ডিজাইন। 

তাছাড়া কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ, শীতের মেকআপের ক্ষেত্রে অনেকে বেশি পাউডার ব্যবহার করেন, এটা করা উচিৎ না এতে করে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে । কিছু মাত্রায় ব্রোঞ্জার ব্যবহার করা ভাল কিন্তু শীতে অতিরিক্ত ব্রোঞ্জার ব্যবহার করা যাবে না।

 

 

 

                   

                          শীতে কেমন হবে বাঙ্গালী ছেলেদের পোশাক

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাসে বাংলাদেশ, ভারতে ভালই ঠাণ্ডা পড়তে দেখা যায়। যারা এই সময় বাংলাদেশ এবং ভারতে ঘুরতে আসতে চান তাদের জন্য এই আর্টিকেল। আজকে আমরা জানব শীত কালের ছেলের জন্য কোন ধরণের পোশাক আরামদায়ক হবে এবং এই দুই দেশের ছেলেরা কী ধরণের পোশাক পরতে পছন্দ করে। যারা ভাবছেন এই সময় বাংলাদেশে ঘুরতে আসবেন তারা অবশ্যই লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন এবং নিজের সুবিধা মত পোশাকটি বেছে নিতে ভুলবেন না।

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ ভারতের ছেলেরাও এখন বেশ ফ্যাশন সচেতন। এই দেশে দামি দামি ব্র‍্যান্ডের পাশাপাশি এসেছে ফ্যাশনেবল পোশাক। আমাদের দেশে শীত কাল আসলেই ছেলের পোশাক বলতে বুঝায় জিন্স, ফুল স্লিভ টি-শার্ট, জ্যাকেট, হুডি, শাল, চাদর, মাফলার, কনভার্স। ঠাণ্ডার উপর ভিত্তি করে কম শীতে আপনি কনভার্সের সাথে, জিন্স ও ফুল স্লিভ টি শার্ট পরতে পারেন অথবা বেশি শীতে জ্যাকেট পরতে পারেন। মাফলার চাইলে সব সময়ই পরা যায়।

ঢিলেঢালা পোশাক

আপনি চাইলে শীতে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে পারেন। সেটা আপনার ইচ্ছা। তাপমাত্রা সব সময় এক থাকে না, তুলনামূলক কম শীতে আপনি ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিত পারেন। ঢিলেঢালা পোশাকও এদেশের ফ্যাশনের অংশ।

 শীত কালে বাংলাদেশ ভারতে হুডির ব্যাপক জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। তরুণ তরুণী সবার পছন্দের শীতের পোশাক হচ্ছে হুডি। শীত কিশোর-কিশোরী থেকে তরুণ-তরুণী সবারই পছন্দের শীতের পোশাক হুডি। শীত আসতেই শপিং মল গুলো এবং অনলাইনে হুডি কেনাবেচার হিড়িক পড়ে যায়। কাপড়ের ধরণ অনুযায়ী অনেক রকমের হুডি মার্কেটে পাওয়া যায়। নরম উলের হুডি থেকে শুরু করে ভারি সিনথেটিক কাপড়ের হুডি পাওয়া যায়।

জ্যাকেট

শীতে ফ্যাশনেবল ছেলেদের অন্যতম পছন্দ হচ্ছে জ্যাকেট। সব পরিবেশেই জ্যাকেট পরা যায়। স্কুল কলেজেও পরে যাওয়া এবং কর্মক্ষেত্রে পরে যাওয়া যায় এই জ্যাকেট। যারা এই দেশে ভ্রমণ করতে আসবেন তাদের জন্য বিশেষ ভাবে কাজের হতে পারে এই জ্যাকেট। কারণ গাড়িতে ভ্রমণে কনকনে শীত থাকে বাচতে সাহায্য করবে এটি। মোটর সাইকেলে করে ঘুরতে জ্যাকেট বেশ কাজের। জায়গাভেদে পলিয়েস্টার, সিনথেটিক লেদার, ডেনিম, ফ্লিচ এর জ্যাকেট পাওয়া যায়।

ব্লেজার

আপনি এদেশে যদি অফিসিয়াল কোন কাজে আসেন তাহলে ব্লেজার পরতে পারেন। ক্যাজুয়াল ব্যবহারে যেমন ব্লেজার মানিয়ে যায় তেমনি পার্টিতেও এটি মানানসই। এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন শপিং মল গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে লেদার, সুতি, ও জিন্সের ব্লেজার সাথে পাবেন মখমলের জ্যাকেট। আমাদের দেশের যুবকদের মধ্যে ব্লেজার পরার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

সোয়েটার

এদেশের ছেলেদের ফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে আপনি পরতে পারেন সোয়েটার। বিভিন্ন ধরণের সোয়েটার আপনি শপিংমল গুলোতে পাবেন। যেমন ভি গলা, চিকন কলার, গোল গলা ইত্যাদি। যারা একটু পুরনো ফ্যাশন ফলো করেন তারা হাফ হাতা সোয়েটার পরতে পারেন। শার্টের উপরে হাফ হাতা বা হাতা কাটা সোয়েটার বেশ মানানসই। সব বয়সী ছেলেরাই সোয়েটার পরে তবে আমাদের দেশের ৪০ ঊর্ধ্ব পুরুষদের হাতা কাটা সোয়েটার পরতে বেশি দেখা যায়।

শাল

আমাদের দেশে শালের প্রচলন অনেক পুরনো। শীতের অনেক পোশাক থাকলেও সবার কাছে একটি শাল থাকবেই। দেশি পোশাকের কথা বলতে গেলে শাল অন্যতম। সাজেক ভ্যালি বা কক্সবাজারে ঘুরতে গেলে শাল আপনাকে অনেক শীত থেকেও রক্ষা করতে পারে।

 মাফলার-টুপি

শীতের পোশাককে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে নির্দিষ্ট কিছু উপাদান যেমন মাফলার, টুপি, ক্যাপ ইত্যাদি। অধিক শীতে কানটুপি, মাফলার, আপনাকে শীত থেকে দারুণ ভাবে রক্ষা করতে পারে। শীতে জার্নিতে আপনার একটা টুপি বেশ কাজ লাগতে পারে। গাড়িতে থাকা কালে কনকনে শীত থেকে বাঁচবেন মাফলার দিয়ে।